ভারতের সামাজিক বৈষম্যের একটি বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হলো বর্ণ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার চতুর্বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র) বাইরের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘকাল ধরে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এদেরই একটি বড় অংশ দলিত নামে পরিচিত-যারা সমাজে ‘অস্পৃশ্য’ ! ভারতের জনসংখ্যার কমবেশি ১৭% #দলিত।
ভারতের অতি প্রাচীনকালের সমাজেও দলিতদের অশুচি বা ‘অস্পৃশ্য’ মনে করা হতো। তাদের হিন্দু মন্দিরে প্রবেশের অধিকার ছিল না, উচ্চবর্ণের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া-বসা নিষিদ্ধ ছিল, পানি তোলার জন্য আলাদা কুয়া বা জলাশয় ব্যবহার করতে হতো। বর্তমান ভারত সাংবিধানিকভাবে #অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধ এবং অনেক দলিত মানুষ উচ্চশিক্ষা, প্রশাসন, রাজনীতি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হলেও সমাজের গভীরে এটি প্রথিত হয়ে আছে।
শিক্ষা, সরকারি চাকরি ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে দলিত কোটা রয়েছে ভারতে। লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় সংরক্ষিত আসনও রাখা হয়েছে। তবে গ্রামীণ ভারতে এখনো দলিতরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। জাতপাতের কারণে পিটিয়ে হত্যা বা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মন্দিরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়না তাদের। স্কুলে দলিত শিশুদের আলাদা বসানো বা খাবার পরিবেশন করা হয়। উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিতে কোটা থাকা সত্ত্বেও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে।
ভারতে দলিতদের ইতিহাস একটি দীর্ঘ বঞ্চনা ও যন্ত্রণার ইতিহাস। ভারতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আজও চলমান। জনসংখ্যার বিপুল একটি অংশকে সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্যতা দিতে না পারলে উন্নত দেশ হিসেবে ভারতের উত্তরন স্বপ্নই থেকে যাবে।
#humanity #humanrights #castesystem #racist #India #trend #viralpost2025 #photo #sketch
No comments:
Post a Comment