Saturday, May 17, 2025

মা

মা মানে তো শুধু মা না—তিনি ভালোবাসার প্রাণ, জীবনের আসল রূপ।

তোমার জীবনে আর কেউ কখনও তাকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না।

তাই তাকে বোঝার আগেই বিচার কোরো না। একটু বসো, একটু শোনো।


তুমি কি কখনও সময় নিয়ে মায়ের মুখোমুখি বসে ওর গল্প শুনেছো?

ওর ছোটবেলার কথা, ওর স্বপ্ন, তোমার আগের জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতি?


অনেক কিছুই সে বলতে পারেনি—বলতে চায়নি।

চুপচাপ থেকে সব যন্ত্রণা নিজের মধ্যে আটকে রেখেছে।

শুধু একটা কারণেই—তোমাকে সেগুলোর থেকে দূরে রাখার জন্য।

তোমার জীবনে যেন তার কষ্টের ছায়া না পড়ে।



হয়তো তার ছোটবেলাটা সুখের ছিল না।

হয়তো জীবনের শুরুর দিকটায় সে একা ছিল, কিংবা যাদের ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিল, তারাই ছিল সবচেয়ে দূর।

কিন্তু এসব তোমাকে বোঝাতে চায়নি, কারণ তোমার সামনে সে শুধু হাসতে চেয়েছে।


চুপ করে থাকা ছিল তার বাঁচার উপায়।

একটা নীরব ঢাল।


তাকে সম্মান করো।

তাকে সময় দাও।

তাকে ভালোবাসো—তোমার মতো করে, নিজের মতো করে।

কারণ সে শুধু মা না—সে তোমার জীবনের সেই আশীর্বাদ, যা হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না।


তোমার প্রতিটা ব্যবহার, প্রতিটা আচরণ একদিন ঠিক তোমার কাছেই ফিরে আসবে।

তুমি যদি মাকে ভালোবাসো, পৃথিবীও তোমাকে ভালোবাসবে।


মা একজনই---

যদি এখন তাকে সময় না দাও, একদিন হয়তো আফসোসগুলো তোমার সঙ্গী হবে।

আর তখন, নিঃসঙ্গ রাতগুলোতে তোমার পাশে থাকবে না তার আশ্বাসের কণ্ঠস্বর—

থাকবে কেবল তীব্র অপরাধবোধ।

তুমি যা বলোনি,

যে সময়টা দিতে পারতে, তা না দেওয়া,

আর সেই কষ্ট—

যে এখন যা করার ছিল, তার সময়টাই আর নেই।


তাকে আজ, এখনই বুঝে ফেলো।

জীবন তোমার অপেক্ষা করবে না,

আর মা?

তিনি তো সারাজীবন অপেক্ষাই করে গেছেন—তোমার একটুখানি মনোযোগের জন্য।

ফলের রাজা আম

বিশ্বব্যাপী আম একটি জনপ্রিয় রসালো, সুগন্ধি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। আম কৃষিখাতে অর্থনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বজুড়ে আমপ্রেমীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কোন জাত সবচেয়ে মিষ্টি বা টেকসই, আর কোন দেশের আম রপ্তানির বাজার দখল করেছে বেশি।

আমের (Mango) বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica, যা Anacardiaceae পরিবারের অন্তর্গত। ভারত উপমহাদেশ, বিশেষত উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম ও বার্মা অঞ্চলে, প্রায় ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে আমের ইতিহাস পাওয়া যায়। সেখান থেকেই এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং পরবর্তীকালে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে।

চীনের ঐতিহাসিক রচনাতেও খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দে আমের উল্লেখ পাওয়া যায়। মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর দরবারে ১ লাখ আমগাছের বাগান স্থাপন করেছিলেন—যা আজকের ভারতের মালিহাবাদ অঞ্চলের 'আমের রাজধানী' নামে পরিচিত। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৬১ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়, যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই এশিয়ায় উৎপাদিত হয়। বিশ্বে আমের মোট বাজারমূল্য কমবেশি ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আম উৎপাদনে ভারত শীর্ষস্থান দখল করে আছে। দেশটি বছরে প্রায় ২৬.৩ মিলিয়ন টন আম উৎপাদন করে থাকে, যা বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ৪০%। আলফানসো, কেসার, রসপুরি, বানগানাপল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের হিমসাগর ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় আমের জাত। এসব আমের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মিষ্টতা, ঘন রস, মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি ও আঁশহীন টেক্সচার।


দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। এই দেশটি বছরে প্রায় ৪.১ মিলিয়ন টন আম উৎপাদন করে। ‘গেডং গিনচু’ ও ‘আরুমানিস’ জাতের আম দেশটির গর্ব। সুগন্ধি, রসালো ও তুলনামূলকভাবে ছোট আকৃতির এই জাতের আম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে ব্যাপকভাবে চাহিদাসম্পন্ন। 

আম উৎপাদনে চীনও পিছিয়ে নেই। প্রায় ৩.৮ মিলিয়ন টন উৎপাদন করে দেশটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। চীনের আমের জাত যেমন ‘তাইনং’ ও ‘সাননিয়ান’ বআধুনিক কৃষিব্যবস্থায় উৎপাদিত, টেকসই ও সহজে সংরক্ষণযোগ্য।

চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তান তাদের ‘চৌসা’, ‘সিন্ধরি’ ও ‘ল্যাংড়া’ জাতের জন্য বিখ্যাত। অতিমিষ্ট, নরম টেক্সচারের এই আম মধ্যপ্রাচ্যের রপ্তানি বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়।



আমেরিকা মহাদেশে মেক্সিকো ও ব্রাজিল যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে। মেক্সিকোর আতাউলফো ও টমি অ্যাটকিন্স জাতের আম ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তুলনামূলকভাবে লম্বাটে, কম আঁশযুক্ত ও সংরক্ষণে দীর্ঘস্থায়ী আমের জাতগুলো। 


আফ্রিকার দেশ মালাউইও আম উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য এক শক্তি। বছরে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন টন আম উৎপাদন করে তারা সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। তারা ‘দোডো’, ‘আলফানসো’ এবং ‘টমি অ্যাটকিন্স’ জাতের আম চাষ করে। 

থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম যথাক্রমে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের আমের কথা না বললেই নয়। দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃতভাবে উৎপাদিত ‘হিমসাগর’, ‘গোপালভোগ’, ‘ল্যাংড়া’, ‘ফজলি’ ও ‘হাঁড়িভাঙ্গা’ জাতের আম শুধু স্বাদে নয়, সুগন্ধি ও ঐতিহ্যে অনন্য। হিমসাগর তুলনামূলক ছোট হলেও স্বাদে অত্যন্ত মিষ্টি ও রসালো। ফজলি আকারে বড়, দেরিতে পাকে এবং রপ্তানির জন্য উপযুক্ত। হাঁড়িভাঙ্গা জাতের আম বিগত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের নাম নিতে গেলে জাপানের Taiyo no Tamago, অর্থাৎ “সূর্যের ডিম”—সবার আগে উঠে আসে। এটি মূলত মিয়াজাকি প্রদেশে জন্মানো একটি বিশেষ জাতের আম, যা রং, স্বাদ ও উৎকৃষ্ট মানের কারণে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে বিলাসবহুল ফল হিসেবে।


ভারত উপমহাদেশ ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত হলেও, আশ্চর্যের বিষয়, ইউরোপে আম তেমন জনপ্রিয় নয়। এটির পেছনে অবশ্য অনেক কারণ আছে। প্রথমত, আম একটি গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল, ইউরোপে উৎপাদিত হয় না। স্বাদ, গন্ধ ও গঠন ঠিক রাখতে হলে আম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অত্যন্ত সতর্কভাবে পরিবহন করতে হয়। পরিবহন ব্যয়ের কারণে আমের দাম বেড়ে যায় আবার পরিবহনে সময়ের কারণে স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তন ঘটে। সম্ভবত এসব কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে আম ততোটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে নাই।

তবে আমের জনপ্রিয়তা ও উৎপাদন বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলছে। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, সংরক্ষণের আধুনিক পদ্ধতি এবং রপ্তানির সুযোগ বাড়ার ফলে এই ফলটি এখন শুধু ভারতীয় উপমহাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী ফলপ্রেমীদের মন জয় করে চলেছে। আম শুধুমাত্র একটি ফল নয়, বরং এটির সঙ্গে ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি জড়িত।  বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, উন্নত সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আগামী দিনে এই ফলের বাজার আরও বিস্তৃত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মাটিতে জন্ম নেওয়া এই রসালো ফল বিশ্বের সকল দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে অচিরেই।

Tuesday, May 13, 2025

আরএসএস (RSS): প্রতিষ্ঠা, হিন্দুত্ববাদী উদ্দেশ্য ও ইতিহাস

ভূমিকা

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS – Rashtriya Swayamsevak Sangh) ভারতের একটি ডানপন্থী, হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এটি ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে এক বিশাল প্রভাব বিস্তারকারী প্রতিষ্ঠান, যার আদর্শ ও কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক ও আলোচনা চলছে।

প্রতিষ্ঠা ও প্রাথমিক উদ্দেশ্য

আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, নাগপুরে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার, যিনি কংগ্রেস দল ও হিন্দু মহাসভা–র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সংগঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল:

•ভারতীয় হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা,

•হিন্দুদের "আত্মরক্ষা" ও "শক্তি" অর্জনের পথে পরিচালিত করা,

•হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিকাশ।


হিন্দুত্ববাদী দর্শন

আরএসএস "হিন্দুত্ব" (Hindutva) মতবাদে বিশ্বাসী, যার মূল ধারণা দেন **বিনায়ক দামোদর সাভারকর**। হিন্দুত্ববাদের মূল বক্তব্য হলো:

• ভারত হলো শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, এটি হিন্দু সংস্কৃতির জন্মভূমি ও পূণ্যভূমি।

•যারা ভারতকে তাদের পিতৃভূমি ও ধর্মভূমি হিসেবে মানে না (বিশেষ করে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের দিকে ইঙ্গিত), তারা হিন্দু জাতির মূল ধারার বাইরে।

এই মতবাদের মাধ্যমে আরএসএস একটি একধর্মীয়, সংস্কৃতিনির্ভর জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে, যেখানে হিন্দু সংস্কৃতিই রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে।


কর্মপদ্ধতি ও সাংগঠনিক কাঠামো

আরএসএস একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে শুরু হলেও, এর রাজনৈতিক শাখা হিসেবে গড়ে ওঠে ভারতীয় জনসংঘ ও পরে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।

আরএসএস এর বিভিন্ন শাখা ও প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে:

•যুবকদের "শারীরিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ

•দেশপ্রেম ও হিন্দু ঐতিহ্যের শিক্ষাদান,

•সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে।

বিতর্ক ও সমালোচনা

আরএসএস বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে:

•১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধী হত্যার পর সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল (যদিও হত্যাকারী নাথুরাম গডসে সরাসরি সদস্য ছিলেন না বলে দাবি করা হয়)।

•ধর্মনিরপেক্ষতা, সংখ্যালঘু অধিকার ও বহুত্ববাদী ভারতের ধারণার বিরোধী বলেও অনেকেই মনে করেন।

•বিভিন্ন সময়ে সংগঠনটি মুসলমান ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতা ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

বর্তমান প্রভাব

আজ আরএসএস ভারতের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যার হাজার হাজার শাখা ও কোটি সদস্য রয়েছে।এটি শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষা, সমাজসেবা, ইতিহাস চর্চা, ধর্মীয় সংস্কার ও অর্থনৈতিক চিন্তাধারায়ও প্রভাব বিস্তার করছে।বর্তমান ভারতের শাসক দল BJP ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও আরএসএস থেকে উঠে আসা একজন সদস্য।

উপসংহার

আরএসএস ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে বিতর্কিত নাম।

একদিকে এটি হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থান ও ঐক্যের এক রূপক হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র, সংখ্যালঘু অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


যার দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, আরএসএস যে ভারতের সমাজ-রাজনীতি ও ভবিষ্যতের গতিপথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, তা অস্বীকার করা যায় না।


Saturday, May 10, 2025

হিট স্ট্রোক (Heat stroke)

সারাদেশে তীব্র তাপদাহ চলছে। প্রচন্ডে গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শিশু, বয়স্ক, নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন তবে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি।

👉হিট স্ট্রোক (heat stroke) কি

এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যেখানে শরীর অতিরিক্ত তাপে উত্তপ্ত হয়ে স্বাভাবিক তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং শরীর আর ঘাম দিয়ে তাপ ছাড়তে পারে না। শরীরের তাপমাত্রা ১০৪°F (৪০°C) বা তার বেশি উঠলে এটি ঘটে। এতে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং পেশিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।



👉কি কারণে হয়

•সূর্যের প্রচণ্ড তাপ বা গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ থাকা

•ভারী কাজ বা ব্যায়ামের কারণে শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ

•গরম পরিবেশে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন)


👉কিভাবে হয়

•ঘর্মগ্রন্থি (sweat gland) শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাম তৈরি করে। ঘাম বেরিয়ে শরীর ঠান্ডা করে। গরমে ঘাম দিয়ে প্রচুর পানি হারায়। পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হয়। এতে ঘর্মগ্রন্থি দ্রুত শুকিয়ে যেতে থাকে এবং ঘাম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ঘাম না হওয়ায় তাপ বের হতে পারে না।

•মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হিট স্ট্রোকে এটি নিজেই অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে শরীর ঘাম তৈরি করার সংকেত দিতে ব্যর্থ হয়।

•অতিরিক্ত গরমে রক্তচাপ ও রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হওয়ায় ঘর্মগ্রন্থিতে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছায় না। ফলে ঘাম তৈরি হয় না।


এসব কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে (১০৪°F বা তার বেশি)। ফলে মস্তিষ্ক, কিডনি, যকৃত ও হৃদপিণ্ড ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি ও এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


👉 লক্ষণ কি

√শরীরের তাপমাত্রা ১০৪°F বা তার বেশি

√ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া

√ত্বক লাল, গরম ও শুকনো হয়ে যাওয়া

√বিভ্রান্তি, অসংলগ্ন কথা বলা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

√নাড়ি (pulse) দ্রুত চলেএবং দুর্বল হয়ে পড়ে

√শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো উপসর্গ

√মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি, খিঁচুনি


👉 করণীয় 

√তাৎক্ষণিকভাবে ছায়া বা শীতল স্থানে নিয়ে যেতে হবে

√জামাকাপড় ঢিলা করুন বা খুলে দিন

√ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর স্পঞ্জ করে দিন বা ঠান্ডা কাপড় পেঁচিয়ে দিন

√পাখা দিয়ে বাতাস দিন, প্রয়োজনে বরফের থলি ব্যবহার করুন

√জ্ঞান থাকলে ধীরে ধীরে পানি পান করান (অজ্ঞান হলে কিছু খাওয়াবেন না)

√দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান — সময় নষ্ট করা বিপজ্জনক হতে পারে।

👉প্রতিরোধ

√প্রচণ্ড রোদে বা গরমে দীর্ঘক্ষণ না থাকা

√ঢিলেঢালা, হালকা রঙের ও সুতি কাপড় পরা

√প্রচুর পানি পান করা ও ডিহাইড্রেশন এড়ানো

√গরম আবহাওয়ায় ব্যায়াম বা ভারী কাজ না করা

√রোদে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করা

√পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা

√শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের যত্ন নেয়া

√বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ও সানগ্লাস ব্যবহার

Friday, May 9, 2025

দাদ

স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়ার পাশাপাশি এবছর দাদ এর বিস্তৃত সংক্রমণ ঘটেছে দেশে। এটি ত্বকের পরিচিত ও সাধারণ রোগ হলেও আশঙ্কার বিষয় হলো ঔষধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে দাদ। ত্বকের এই ছোঁয়াচে রোগটি ছত্রাক বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের কারণে ঘটে। ট্রাইকোফাইটন, মাইক্রোস্পোরাম ও এপিডার্মোফাইটন ধরনের ফাঙ্গাস জাতীয় জীবাণু দাদ সৃষ্টি করে। ইংরেজিতে এটিকে রিংওয়ার্ম (Ringworm) বলা হয়ে থাকে।

মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের যে কোনো জায়গায় শিশু নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দাদ আক্রান্ত হতে পারেন। তবে শিশু, বয়স্ক, ডায়াবেটিস আক্রান্ত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি হয়ে থাকে। 

☑️কিভাবে ছড়ায়

দাদ একটি ছোঁয়াচে ছত্রাকজনিত ত্বকের রোগ।

•আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা তার ব্যবহার্য জিনিসের সংস্পর্শ থেকে (চিরুনি, তোয়ালে ও বিছানার চাদর ইত্যাদি)

•দাদ আক্রান্ত গৃহপালিত প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে (কুকুর, বিড়াল, গরু, ছাগল ও ঘোড়া)

•দাদ রোগের জীবাণু আছে এমন পরিবেশ, বিশেষ করে স্যাঁতস্যাঁতে স্থান থেকে

☑️লক্ষণ কি 

•ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ দাদের প্রধান লক্ষণ এই র‍্যাশ দেখতে সাধারণত আংটির মতো গোল হয়ে থাকে। রঙ হয় লালচে। তবে রোগীর ত্বকের বর্ণভেদে এটি রূপালি দেখাতে পারে। আবার আশেপাশের ত্বকের চেয়ে গাঢ় বর্ণও ধারণ করতে পারে। দাদ রোগে ত্বকের বর্ণ পরিবর্তনের পাশাপাশি র‍্যাশের উপরিভাগে ছোটো ছোটো আঁশ থাকতে পারে। 

•চুলকানি

• আক্রান্ত স্থান ত্বক খসখসে বা শুকনো এবং ফুলে যেতে পারে

•ত্বকের অংশে চুল অথবা লোম থাকলে সেগুলো পড়ে যেতে পারে।

শরীরের যে কোন স্থানে যেমন কুঁচকি, মাথার ত্বক, হাত, পা, পায়ের পাতা, এমনকি হাত-পায়ের নখেও সংক্রমণ হতে পারে। আক্রান্ত স্থানের ওপর নির্ভর করে দাদের লক্ষন ভিন্ন হতে পারে। এমনকি চিকিৎসা পরিভাষায় রোগের নামও আলাদা হয়ে থাকে।

কুঁচকিতে দাদ হলে সাধারণত ঊরুর ভেতরের দিকের ভাঁজে লাল লাল র‍্যাশ হিসেবে দেখা যায়। র‍্যাশে আঁইশ থাকে এবং চুলকানি হয়।

পা ও আঙ্গুলের ফাঁক আক্রান্ত হলে ত্বক উঠে যেতে থাকে। আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে চুলকানি হয়। বিশেষ করে পায়ের সবচেয়ে ছোটো আঙুল দুটির মাঝখানের অংশে চুলকানি হয়ে থাকে। পায়ে দাদ হলে পায়ের পাতা ও গোড়ালিও আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি গুরুতর ক্ষেত্রে পায়ের ত্বকে ফোস্কা পড়তে পারে। নখ দাদ আক্রান্ত হলে আকৃতি ও রঙের পরিবর্তন হয়।

মাথার ত্বকে দাদ হলে সাধারণত আক্রান্ত অংশের চুল পড়ে গিয়ে টাক সৃষ্টি হয়। টাক পড়া অংশে লালচে, গোলাকার ও ছোটো ছোটো আঁশযুক্ত র‍্যাশ তৈরি হয়। এতে চুলকানি থাকতে পারে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে টাক পড়া অংশের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে এবং মাথার ত্বকে দাদ রোগের একাধিক র‍্যাশ তৈরি হতে পারে।

গাল, চিবুক ও গলার ওপরের অংশেও দাদ হতে পারে। এই ধরনের দাদ লাল লাল র‍্যাশ হিসেবে দেখা যায়, যাতে আঁশ থাকে এবং চুলকানি হয়। দাঁড়িতে দাদ হলে অনেক সময় র‍্যাশের ওপরে চলটা পড়ে। আবার ভেতরে পুঁজও জমতে পারে। একই সাথে আক্রান্ত অংশের চুল পড়ে যেতে পারে।


☑️প্রতিরোধের উপায়

•আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে দূরে থাকুন।

•গৃহপালিত পশুপাখির সংস্পর্শে আসার পর সাবান বা অন্য কোন জীবাণু নাশক দিয়ে হাত পা পরিস্কার করে ফেলুন।

•নিয়মিত গোসল ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। 

•ঘাম ছত্রাকের খাবার, ঘর্মাক্ত হলে মুছে বা ধুয়ে ফেলুন।

• স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ ছত্রাক জন্মাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আলো বাতাস আছে এমন পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।

• আঁটোসাঁটো পোশাক ও জুতো পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন। পারলে প্রাকৃতিক তন্তুর (সুতি, সিল্ক) পোশাক পরিধান করুন।

• অন্তর্বাস (গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া, বক্ষবন্ধনী, মোজা) একবার ব্যবহার করার পর না ধুয়ে পুনরায় গায়ে ওঠাবেন না।

☑️চিকিৎসা কি

আক্রান্ত স্থান, বয়স, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইত্যাদি বিচার করে দাদ চিকিৎসা করা হয়। ফাঙ্গাস বা ছত্রাক বিরোধী নানা রকম ঔষধ মুখে খাওয়া, ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু এমনকি ইঞ্জেকশন হিসেবে দাদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

☑️জটিলতা

সঠিক সময় যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ না করলে দাদ আক্রান্ত স্থান ও তীব্রতা বেড়ে যায়। দাদে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটলে সেরে যাওয়ার পরেও আক্রান্ত স্থানে দাগ ও ক্ষত থেকে যায়।

কাজেই দাদ আক্রান্ত হলে যতো দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

#health #skincare #skindisease #infection #MRKR #doctor #treatment #healthylifestyle #trend #photo #viralpost #viralpost2025シ

Thursday, May 8, 2025

চেহারা ও শরীরের গঠন নিয়ে মানসিক রোগ

 বলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক করন জোহরের চেহারা ও শরীরের গঠন পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক চলছে সম্প্রতি। পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন চেহারার পরিবর্তনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। সম্ভবত এরা দুজনেই 'বডি ডিসমরফিয়া' নামক রোগে আক্রান্ত।

বডি ডিসমরফিয়া (Body Dysmorphic Disorder, BDD) হলো একটি মানসিক রোগ, যেখানে একজন ব্যক্তি তার শারীরিক গঠন, চেহারা বা শরীরের কোনো অংশের প্রতি অতিরিক্ত বা বাস্তবের বাইরে উদ্বেগ অনুভব করেন। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার শারীরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন এবং মনে করেন যে, তাদের শরীর বা কোনো নির্দিষ্ট অংশের চেহারা বিকৃত বা আকৃতির ত্রুটি রয়েছে, যদিও সেটি বাস্তবিকভাবে খুবই ছোট বা অনুপস্থিত হতে পারে। 

এতে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত কসমেটিক সার্জারি বা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সংশোধনমূলক অস্ত্রোপচারের দিকে বেশী ঝুঁকে পড়েন।

✅লক্ষণ কি?

√অতিরিক্ত উদ্বেগ: এক বা একাধিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ অনুভব করা, যেমন চেহারা, ত্বক, দাঁত, চুল বা শরীরের অন্য কোনো অংশ।

√নিজের শরীরের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি: এমন অনুভূতি যে শরীরের কোনো অংশ "অভ্যন্তরীণ ত্রুটি" রয়েছে, যা অন্যরা লক্ষ্য করে এবং সমালোচনা করে।

√নিরবচ্ছিন্ন আয়না বা অন্যদের চেহারা পরখ করা: নিয়মিত আয়নায় নিজের চেহারা দেখা বা অন্যদের কাছে শরীরের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বারবার প্রশ্ন করা।

√প্রতিনিয়ত শরীর বা চেহারার সংশোধন: বিভিন্ন ধরনের সার্জারি, প্রসাধনী বা মেকআপ ব্যবহারের মাধ্যমে শরীর বা চেহারা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা।

√অন্যদের সঙ্গে তুলনা: নিজের শরীর বা চেহারা নিয়ে সঙ্গী, বন্ধু বা পরিচিতদের সঙ্গে তুলনা করা এবং তাদের মন্তব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া।

√সমাজিকভাবে বিচ্ছিন্নতা: শরীরের কোনো অংশের নিয়ে উদ্বেগের কারণে সামাজিক পরিবেশ বা জনসমক্ষে যাওয়া থেকে বিরত থাকা।


✅কারণ কি?

√জেনেটিক বা পারিবারিক ইতিহাস: যদি পরিবারে কেউ মানসিক রোগে ভুগে থাকে, তবে সেই ব্যক্তিরও BDD হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে।

√মানসিক বা শারীরিক ট্রমা: ছোটবেলায় বা বড় হওয়ার সময় কোনো শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান বা শারীরিক ত্রুটি নিয়ে হাস্যরস করা।

√মিডিয়ার প্রভাব: বর্তমান সমাজে "পারফেক্ট" শরীরের চিত্র প্রচার করে এমন মিডিয়া (যেমন: ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া) BDD এর বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে।

√আত্মবিশ্বাসের অভাব: কম আত্মবিশ্বাস, উদ্বেগ বা হতাশার কারণে এক ব্যক্তি তার শরীর বা চেহারার প্রতি অতিরিক্ত নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে পারে।

✅চিকিৎসা কি?

বডি ডিসমরফিয়া একটি জটিল মানসিক রোগ, যেটি সাইকোথেরাপি, ঔষধ ও পারিবারিক সহযোগিতার সমন্বয় করে চিকিৎসা দেয়া হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কসমেটিক সার্জারি কেবল শারীরিক চেহারা পরিবর্তন করতে পারে, তার অন্তর্নিহিত মানসিক সমস্যার চিকিৎসা না করলে এটি থেকে মুক্তি মিলবে না।

Tuesday, May 6, 2025

রাজশাহীর বড়কুঠি

১৭শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদী শক্তি ইংরেজ, ফরাসি, পর্তুগিজ ও ডাচ কোম্পানি বানিজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘাঁটি গেড়ে বসে। শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (VOC)। রাজশাহী ছিল এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেখানে তারা তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল।



ডাচরা রাজশাহীতে আসে মূলত রেশম ব্যবসা কেন্দ্র করে।রাজশাহী অঞ্চল প্রাচীনকাল থেকেই মুলবুটি (মসলিনের বিকল্প সূক্ষ্ম কাপড়) এবং তুঁত সিল্কের জন্য বিখ্যাত ছিল।

ডাচরা এই সূক্ষ্ম কাপড় ইউরোপে রপ্তানি করত। উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য তারা গুদামঘর (factory house) স্থাপন করে।‌ এখনও বড়কুঠি নামে পরিচিত ঐতিহাসিক স্থাপনা টিকে রয়েছে।

নদীপথের কারণে রাজশাহী সহজেই বন্দর এলাকা ও অন্যান্য শহরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, যা ডাচদের ব্যবসার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক সুবিধা তৈরি করত। এসব কারণেই ডাচরা রাজশাহীতে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। 

১৭৪০ সালের দিকে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজশাহী শহরে পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় বড়কুঠি নির্মাণ করে। এটি ছিল মূলত একটি কুঠি বা ফ্যাক্টরি হাউজ, যেখানে তারা সিল্ক ও অন্যান্য পণ্য সংগ্রহ ও রপ্তানির জন্য ব্যবহার করত।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে এটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে তা সরকারি মালিকানায় আসে। এটি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। স্থাপনাটি আংশিকভাবে সংরক্ষিত, তবে সময়ের সাথে এর কিছু অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। এটি রাজশাহীর অন্যতম ঐতিহাসিক পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত, যেখানে ইতিহাসপ্রেমী ও স্থাপত্যবিদরা ঘুরতে আসেন।

সৌন্দর্য ধরে রাখার ইঞ্জেকশন—প্রভাব, অপব্যবহার ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশ্ন!

 ✅ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ত্বকে বয়সের ছাপ খুঁজে পেয়ে আতঙ্কে ভোগেন। আবার অনেকে নিজের বাহ্যিক অবয়বে সন্তুষ্ট না হয়ে সৌন্দর্য  খুঁজে ব...